আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন? আশাকরি ভালোই আছেন আল্লাহর রহমতে।
আরএসট্রিক২১ এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বন্ধুরা আমরা আমাদের জীবনের বড় একটি অংশ পড়াশোনার কাজে ব্যয় করি। আমরা যারা এখনো ছাত্র তারা জ্ঞান অর্জন ও সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য পড়াশুনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখি।
আমাদের পড়াশোনার পেছনে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। আপনি হিসাব করলে সেটা সহজেই বুঝতে পারবেন। আবার পড়াশোনার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে ভালো কোনো পেশাকে ক্যারিয়ারে পরিণত করা।
একটি ছেলে ৬ বছর বয়স থেকে ২৪ বছর বা তারও বেশি সময় ছাত্রবস্থায় থাকে। তখন সে ছাত্রবস্থায় থাকে তখন অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার জন্য নিজেকে তৈরি করে নেয়। আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সট্রা কিছু আয় করতে পারেন তাহলে আপনার পরিবারের খরচের বোঝা অনেকটা হালকা হবে।
তো বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে দেখে নিই পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার এক্সট্রা কিছু উপায় সম্পর্কে। তবে তার আগে এ সম্পর্কিত বিষয়ে আমার আগের একটি পোস্ট রয়েছে সেটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
তাহলে শুরু করা যাক।
১. ব্যবহারিক খাতা এঁকে:-
আপনার যদি ছবি আঁকার প্রতি দক্ষতা থাকে তাহলে এই কাজটা করে বাড়তি কিছু ইনকাম করতে পারবেন। সায়েন্সের জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান কিংবা কৃষিশিক্ষা এসব বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ব্যবহারিক খাতায় চিত্র আঁকতে হয়। অনেকে এসব চিত্র অন্যদের দিয়ে আঁকয়ে নেয়। আপনার ভাই বা কোনো বন্ধুকে এ ব্যাপারে বলে রাখুন যে আপনি কারো সাথে ব্যবহারিক খাতা এঁকে দেবার কন্ট্রাক্ট করতে চান। আপনি ১০০ টাকা দরে ব্যবহারিক খাতা এঁকে দিলে এরকম ১০টি খাতা আঁকলে আপনার আয় হবে ১০০*১০=১০০০ টাকা।
২. কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করে:-
কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি ছাত্রজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পার্টটাইম শিক্ষকতা করেও এক্সট্রা কিছু ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ইনকাম কিছুটা কম হলেও এটা আরো ইনকামের পথ তৈরি করে দেয়। যেমন আপনি এর মাধ্যমে ভালো কোনো কোচিং-সেন্টারে ডাক পেতে পারেন। এছাড়াও এর মাধ্যমে আপনি অনেক টিউশনি পাবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এর মাধ্যমে যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয় সেটা পরবর্তীতে অনেক কাজে লাগে।
৩. ফ্রীল্যান্সিং করে:-
হ্যাঁ এটা ঠিক যে ফ্রীল্যান্সিং শিখতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু ভালোমানের একজন ফ্রীল্যান্সারের আয় আপনার কল্পনার বাইরে। একটি ল্যাপটপকে পুঁজি করে ফ্রীল্যান্সিং করে আপনি মাসে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বা তারও বেশী আয় করতে পারেন। ফ্রীল্যান্সিং করতে গেলে ধৈর্য+দক্ষতা+পরিশ্রম এই তিনটাই গুন থাকতে হবে। সেইসাথে ইংরেজী ভাষার দক্ষতাও থাকতে হবে।
৪. ফ্রীল্যান্সিং শিখিয়ে:-
আপনাকে শিক্ষক হতে হলে প্রথমে ভালো একজন ছাত্র হতে হবে। আপনি যদি ফ্রীল্যান্সিং জানেন তাহলে অন্যদেরও ফ্রীল্যান্সিং শিখিয়ে বেশ ভালো আয় করতে পারেন। আমার পরিচিত একজন বড়ভাই আছেন যিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে ফ্রীল্যান্সিং ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপিং শিখিয়ে বেশ ভালো পরিমাণ ইনকাম করেন।
৫. পশুপালন করে:-
পশুপালনের মধ্যে ছাগল পালন করাকে আমি সবচেয়ে লাভজনক মনে করি। কারণ ছাগল পালনে তেমন কোনো খরচ নেই। এছাড়াও কোরবানীর জন্য গরু পালন করতে পারেন। তবে এতে অনেক টাকার পুঁজি লাগবে।
৬. পারিবারিক ব্যবসায়ে টাকা ইনভেস্ট করে:-
আপনার পরিবারে কোনো ব্যবসায় থাকলে সেটাতে টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনার বাবার মুদির দোকান আছে। আপনি সেখানে আপনার জমানো কিছু টাকা বিনিয়োগ করে পণ্যসামগ্রী কিনতে পারেন ওই দোকানের জন্য। আবার পণ্যগুলো বিক্রি করে প্রাপ্ত লভ্যাংশ নিজের আয় হিসেবে নিতে পারেন।
৭. কারিগরি কাজ করে:-
আমাদের দেশে কারিগরি কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। মোবাইল সার্ভিসিং, কম্পিউটার ট্রেনিং, টিভি-ফ্রীজ মেরামত ইত্যাদি কারিগরি কাজের অর্ন্তভুক্ত। এসব কাজ শিখে আপনি নিজের আয়ের পথ তৈরি করে নিতে পারেন ছাত্রবস্থা থেকেই।
৮. কোচিং সেন্টারে যোগদান করে:-
আমার পরিচিত এক বড়ভাই যিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। আবার, টাউনের কোচিং-সেন্টারে কোচিং করিয়ে বেশ ভালো পরিমাণ ইনকাম করেন। আপনিও যদি কোনো কোচিং সেন্টারে যোগদান করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে কোচিং-সেন্টারের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা আপনার দক্ষতা বিচার করে শিক্ষকতা শুরু করার জন্য অনুমতি দিবে।
তো বন্ধুরা, আমি আপনাদের ছাত্রজীবণে পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করার ৮টি উপায় সর্ম্পকে জানালাম।
আশাকরি পোস্টটি আপনাদের উপকারে এসেছে।
আপনাদের যেকোনো মতামত কমেন্টে জানাতে পারেন। কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে বা জানার থাকলে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আরএসট্রিক২১ এর সাথেই থাকুন।
♠ধন্যবাদ♠
إرسال تعليق