ছাত্রজীবন বলতে যখন আমরা স্কুল-কলেজে পড়ি সে সময়কে বুঝায়।পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রজীবনে যদি আয় করতে চান তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য।

আজকের ব্লগে আমি আপনাদের পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার ৫টা উপায় সর্ম্পকে জানাবো।

আশাকরি ব্লগটি দেখার পর আপনার পকেট খরচ আপনিই যোগাড় করতে পারবেন।এবং ফ্যামিলির বোঝা হিসেবে না থেকে আয় করতে পারবেন।

তো চলুন তাহলে শুরু করি--------------------


টিউশনি করে আয়:- স্টুডেন্ট লাইফে বেশিরভাগ মানুষের টিউশনি করার অভিজ্ঞতা থাকে।আপনি যদি টিউশনি করে আয় করতে চান তাহলে বড় ভাই কিংবা বন্ধু বান্ধবদের বলে রাখতে পারেন।তারা আপনাকে টিউশনি ধরে দিতে পারে।সবসময় আপনার প্রতিবেশীদের প্রমাণ করতে চেষ্টা করুন যে আপনি একজন ভালো ছাত্র।তাহলে তারা আপনাকে টিউশনির অফার করতে পারে। আপনি যদি ১০০০ টাকা দরে ৪টা টিউশনি করেন তাহলে মাস শেষে আপনার আয় হবে (৪*১০০০)=৪০০০ টাকা।প্রতিমাসে যদি ৪০০০ টাকা আয় হয় তাহলে খারাপ কি?


ইউটিউবিং করে আয়:-ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড দিয়েও চাইলে আপনি আয় করতে পারেন।এর জন্য ১২ মাসের মধ্যে আপনাকে ১০০০ সাবস্ক্রাইব,১০০০০ভিউ ও ৪০০০ঘন্টা ওয়াচটাইম পূরণ করতে হবে। ওয়াচটাইম মানে লোকে কত সময় ধরে আপনার ভিডিও টা দেখেছে।  শর্তগুলো পূরণ হলে মনিটাইজেশনের জন্য মানে অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার চ্যানেল মনিটাইজ হয়ে গেলে চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন শো করবে। বিজ্ঞাপন গুলোতে যত ক্লিক হবে আপনার আয় তত বাড়বে।


ফ্রিল্যান্সিং করে আয়:-আপনার যদি প্রোগ্রামিংয়ে  দক্ষতা থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার প্রোগ্রামিং দক্ষতার পাশাপাশি ইংরেজী ভাষার দক্ষতার প্রয়োজন হবে। freelancer.com, upwork.com এরকম সাইটে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পাবেন। দক্ষতা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ২৫০০০থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।


সবজি চাষ করে আয়:-আপনার বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ করেও চাইলে এক্সট্রা কিছু আয় করতে পারেন।এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি কারো নিকট বা বাজারে বা কাউকে দিয়ে  বিক্রি করিয়ে আয় করতে পারেন।


ব্লগপোস্ট লিখে আয় করুন:- চাইলে আপনি আমার মতো ব্লগার কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস সাইট খুলে আয় করতে পারবেন।ব্লগার থেকে আপনি ফ্রীতে একটি ডোমেইন তৈরি করে নিতে পারবেন।অ্যাডসেন্স (বিজ্ঞাপন দেওয়ার অনুমতি) অ্যাপ্রুভ হবার পর আপনি আয় করতে পারবেন।মাস শেষে আপনার আয় করা টাকা গুগল আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দিবে।আপনার আয় ডিপেন্ড করবে বিজ্ঞাপনে কত ক্লিক হচ্ছে ও ভিজিটরের উপর।


দোকানে সহকারীর কাজ করে :- যেসব দোকানে ক্রেতা বেশি থাকে সেখানে সহকারীর চাহিদা বেশি। বিশেষ করে রমজান মাসে কাপড়ের দোকানে। এ সময়টাতে দোকানে সহকারীর কাজ করে এক্সট্রা কিছু ইনকাম করতে পারেন।


কোনো কিছু না বুঝলে আমাকে ফেসবুকে ইনবক্স করতে পারেন।আমার আইডির লিংক https://www.facebook.com/100038808393650/posts/312270696743208/?substory_index=2&app=fbl


Post a Comment

أحدث أقدم