ব্যাকলিংক হচ্ছে off-page SEO এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অফ পেজ এসইও হচ্ছে পেজের বাইরে এসইও। অনপেজ এসইও এবং অফপেজ এসইও দুইটাই আপনার সাইটের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 




অনপেজ এসইও বলতে আমরা বুঝে থাকি টাইটেল-ডেসক্রিপশন দেওয়া, sitemap অ্যাড করা, ট্যাগ সেট করা ইত্যাদি। আর অফপেজ এসইও বলতে বোঝায় পেজের বাইরে এসইও যা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অফপেজ এসইও আপনার সাইটের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনার সাইটের র‍্যাংকিং বাড়াতে সাহায্য করে। এবং সেইসাথে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতেও সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:- মোবাইল দিয়ে খুলুন ইউটিউব চ্যানেল মাত্র ২ মিনিটেই


 অফপেজ এসইও করার উপায় হলো ব্যাকলিংক তৈরি করা। ব্যাকলিংক তৈরি করার অনেক উপায় রয়েছে। যেমন:- গেস্ট-পোস্ট, ব্লগ কমেন্টিং, ইনবাউন্ড লিংকিং, আউটবাউন্ড লিংকিং। এসব উপায় সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।



গেস্ট-পোস্ট:- 

Guest Post কে ব্যাকলিংক তৈরির সেরা মাধ্যম বলা হয়। এটা ব্যাকলিংক তৈরির সবচেয়ে ভালো ও লাভজনক উপায়। গেস্ট পোস্টের মাধ্যমে তৈরি করা ব্যাকলিংক খুবই কোয়ালিটিসম্পন্ন হয়ে থাকে। 


গেস্ট-পোস্ট করার জন্য নিজের ব্লগের বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত সাইটে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে হবে। এবং সেখানে আপনার ব্লগের url সহ দিয়ে দিবেন। গেস্ট-পোস্ট করতে চাইলে যে ওয়েবসাইটে গেস্ট-পোস্ট করবেন সেই সাইটের এডমিনের অনুমতি নিতে হবে। সে আপনাকে অনুমতি দিলে আপনি পোস্ট পাবলিশ করতে পারবেন।



ব্লগ কমেন্টিং:

ব্লগে কমেন্ট করেও ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়। এটা ব্যাকলিংক তৈরির সবচেয়ে সহজ উপায়। অনেক ব্লগার এ পদ্ধতি ব্যবহার করে সহজে ব্যাকলিংক তৈরি করে। কমেন্ট করে ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য আপনার ব্লগের সাথে জড়িত ওয়েবসাইট গুগলে সার্চ করবেন। এরপর নিচে কমেন্ট অপশনে গিয়ে আপনার নাম, ই-মেইল অ্যাড্রেস ও ওয়েবসাইট url দিয়ে কমেন্ট করবেন।(ওয়েবসাইটের জায়গায় আপনার নিজের ওয়েবসাইটের url দিবেন।)




ইনবাউন্ড লিংকিং:-

আমরা যখন কোনো ব্লগপোস্টে অন্য কোনো ব্লগ-পোস্ট সংযুক্ত করি তখন সেটাকে ইনবাউন্ড লিংকিং বলা হয়। যেমন ধরুন :-আপনি ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় বিষয়ে একটি পোস্ট তৈরি করলেন। সেখানে আরও লিখে ব্লগিং করে আয় করার উপায় এরকম একটি পোস্ট সংযুক্ত করলেন। সেটা হবে ইনবাউন্ড লিংকিং। 

আরও পড়ুন:- ব্লগারের জন্য অসাধারণ একটি থিম ফ্রীতে নিয়ে নিন



আউটবাউন্ড লিংকিং:-

যখন অন্য কোনো ওয়েবসাইটে আপনার ব্লগের লিংক দেওয়া হয় তখন সেটাকে বলে আউটবাউন্ড লিংকিং। আউটবাউন্ড লিংকিং এর ফলে আপনার সাইটের ট্রাফিক ও র‍্যাংক অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়। অন্যকোনো ওয়েবসাইটে গুগল আপনার সাইটের লিংক পেলে সেটাকে পজেটিভলি বিবেচনা করে।



ব্যাকলিংক সবসময় রিলেটেড সাইট থেকে নিবেন। অর্থাৎ আপনার ব্লগের সাথে সম্পর্কিত সাইট থেকে নিবেন। আরও একটি কথা মনে রাখবেন। সেটা হচ্ছে অবশ্যই High-quality ও High-domain Authority থাকা সাইট থেকে ব্যাকলিংক নেবার চেষ্টা করবেন। Low quality সাইট থেকে ব্যাকলিংক নিলে আপনার সাইটের র‍্যাংক বাড়ার বদলে আরো কমে যাবে। সহজে ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য রিলেটেড সাইটে ব্লগ-কমেন্টিং করতে পারেন। 


আর হ্যাঁ, অতিরিক্ত ব্যাকলিংক তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়। অতিরিক্ত ব্যাকলিংক তৈরি করলে গুগল সেটাকে স্প্যাম হিসেবে ধরে নিতে পারে। যার ফলে আপনার সাইটের সার্চ র‍্যাংকিং কমে যাবে।




তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। আশাকরি পোস্টটি আপনাদের উপকারে এসেছে।


আপনাদের কোনো সমস্যা বা মতামত কমেন্টে জানাতে পারেন। অনেক কষ্ট করে পোস্ট করি। আপনাদের কমেন্ট পেলে উৎসাহ আরো বাড়বে। আমার সাথে ফেসবুকেও যোগাযোগ করতে পারেন। আমার ফেসবুক আইডির লিংক।



ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন

Rstrick21 এর সাথেই থাকুন।



♠ধন্যবাদ♠

Post a Comment

Previous Post Next Post