প্রায় ৯০% ইউটিউবার আয়ের উদ্দেশ্যে ইউটিউব চ্যানেল খুলে থাকে। কারো স্বপ্ন পূরণ হয়, আবার কারো হয়না। এই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার জন্য দায়ী তাদের বিভিন্ন ভুল। আর নতুন ইউটিউবারদের ক্ষেত্রে এসব ভুল বেশী হয়।
আসুন দেখে নিই নতুন ইউটিউবাররা কী কী ভুল করে থাকে:-
অন্যের ভিডিও কপি করা:-
নতুন ইউটিউবারদের অনেকেই না বুঝেই অন্যের ভিডিও ক্লিপ কপি করা শুরু করে। এটা করলে গুগল আপনাকে অ্যাডসেন্স দেওয়া তো দূরের কথা চ্যানেলও বন্ধ করে দিবে। অন্যের ভিডিও কপি করা মানে কপিরাইট নীতি লঙ্ঘন করা। আপনার ভিডিও হতে হবে ১০০% কপিরাইট ফ্রী। এসব ওয়েবসাইটে কপিরাইট ফ্রী ভিডিও পাবেন।
pixels.com
pixabay.com
shutterstock.com
স্প্যাম করা:-
নতুনদের মধ্যে প্রায় ৮০% ইউটিউবার এই ভুল করে থাকে। তুমি আমার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব কর আমি তোমার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করব। তুমি আমার ভিডিও দেখো আমিও তোমার ভিডিও দেখবো। এসব করা স্প্যামিং এর অর্ন্তভুক্ত।এসব করে যদি যদি মনিটাইজেশন পাওয়া যেত তাহলে এতদিনে সবাই ইউটিউবার হয়ে যেত। আপনি বরং এসব করা বাদ দিয়ে কিভাবে ভালো ভালো ভিডিও তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করুন।
এডাল্ট কনটেন্ট আপলোড দেওয়া:-
অনেক নতুন ইউটিউবার না বুঝেই এই ভুলটা করে থাকে। তারা ভাবে যে আমি যদি আমার চ্যানেলে ১৮+, অশ্লীল ভিডিও আপলোড দিই তাহলে তাড়াতাড়ি অনেক ভিউস পাবো। আসলে এ ধারণা ভুল। আপনি যদি আপনার চ্যানেলে এডাল্ট কনটেন্ট আপলোড দেন তাহলে গুগল আপনাকে কখনোই অ্যাডসেন্স দিবে না।
সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করতে না জানা:-
অধিকাংশ ইউটিউবার ভিডিওতে সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করতে জানে না।একটি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য সুন্দর উপস্থাপনা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা আপনি বড় ও জনপ্রিয় কোনো ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন। আপনি যদি ফেসক্যাম অর্থাৎ মুখ দেখিয়ে ভিডিও করেন তাহলে সুন্দর উপস্থাপনা আরো গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ফেসক্যাম ভিডিও করে থাকেন তাহলে আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপনাকে sohag360 অথবা ST Unique Tech এর ভিডিও দেখতে বলব। এরা কিভাবে উপস্থাপনা করে তা দেখে কিছুটা ধারণা নিতে পারেন। উপস্থাপনা করার সময় আপনার কথা হতে হবে স্মার্ট। দেখে যেন মনে হয় আপনি ভিউয়ারের সাথে সরাসরি কথা বলছেন।
সুন্দরভাবে ভিডিও তৈরি করতে না জানা:-
বেশিরভাগ নতুন ইউটিউবার সুন্দরভাবে ভিডিও তৈরি করতে পারে না। এর কারণ হচ্ছে তাদের অনভিজ্ঞতা ও অদক্ষতা।
যারা ইউটিউবে বেশী বেশী ভিডিও দেখে তাদের কিভাবে সুন্দর একটি ভিডিও তৈরি করতে হয় তা সম্পর্কে ধারণা জন্মায়। এছাড়া সুন্দর ভিডিও তৈরি করতে হলে ভিডিও এডিটিং এর উপর ভালো দক্ষতা থাকতে হয়। আপনি আপনার ভিডিওকে যদি একজন দর্শকের ভূমিকায় দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার ভিডিওটি ভালো নাকি খারাপ। আর আপনার ভিডিওর ভুল-ক্রটি ধরার চেষ্টা করুন। তাহলে সুন্দর একটি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। আর হ্যাঁ, ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করলে ভিডিওটি আরো সুন্দর দেখায়। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের সাউন্ড ভিডিওর ভয়েসের সাউন্ডের চেয়ে বেশি বড় না হয়।
আত্নবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা:-
এটা প্রায় সব নতুন ইউটিউবারদের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। যখন চ্যানেল খুলার পর তেমন কোনো ভিউস পায় না তখন অনেক ইউটিবারই মনোবল হারিয়ে ফেলে। তখন তারা ভাবে এগুলো আমার দ্বারা সম্ভব নয়। এসব যাদের ভাগ্যে আছে শুধু তারাই পারে। আমি আপনাকে বলব ধৈর্য হারাবেন না। কারণ ইউটিউবিং হচ্ছে ধৈর্যের খেলা। আপনার চ্যানেল যখন নতুন অবস্থায় থাকবে তখন সাবস্ক্রাইব খুব কম থাকে। কিন্তু যখন দেখবেন আপনার ১০০০ সাবস্ক্রাইব হয়ে গেছে তখন ভিউস পেতে আর কোনো কষ্ট হবে না। যেমন আমি আপনাকে একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিই। ধরুন একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব সংখ্যা ২ লাখ। এবং আরেকটি চ্যানেলে ২ হাজার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। এখন কোন চ্যানেলটিতে ভিউস বেশী হবে? নিশ্চই ২ লাখ সাবস্ক্রাইবারের চ্যানেলটিতে।
আর হ্যাঁ, ভালো পরিমাণ সাবস্ক্রাইবার পেতে আপনাকে ভালোমানের কন্টেন্ট তৈরি ও ধৈর্যধারণ করতে হবে। আপনার চ্যানেলে ভালো পরিমাণ সাবস্ক্রাইব আসতে সময় লাগবে। যখন কোনো ভিউয়ারের আপনার চ্যানেলের ভিডিও পছন্দ হয় এবং সে যদি মনে করে এরকম আরো ভালোমানের ভিডিও আসার সম্ভাবনা রয়েছে তখনই সে আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে থাকে। তাই এমন ভিডিও আপলোড দিন যা ভিউয়ারের পছন্দ হয়।
তো বন্ধুরা, আশাকরি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং উপকারে এসেছে।
আপনাদের যেকোনো মতামত কমেন্টে জানাতে পারেন। আপনাদের ইউটিউব সম্পর্কে কোনো কিছু জানার থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আরএসট্রিক২১ এর সাথেই থাকুন।
♠ধন্যবাদ♠
إرسال تعليق